শুক্রবার, ৩ আগস্ট, ২০১৮

এটাা সেই কিতাব


এটা সেই কিতাব .....

এ এক মহা আলোকমালা !
এটা হলো মহা শান্তীময় ও মহাপ্রেমময় জীবনের এক অনুপম ও অফুরন্ত ঝড়নাধাঁরা !
এটা হলো বেদনায় কাতর ও জর্জরীত হয়ে যাওয়া ছিন্ন ভিন্ন হৃদয়কে জাগীয়ে তোলার এক পরম, মহাশাশ্মত ও জীবন্ত গ্রণ্থ ৷
এ এক সুগঠিতপূর্ণ আলো,
এ এক সুসামন্জ্ঞস্যপূর্ণ আলো, 
এ এক মহাজ্যোতিপূর্ণ আলো ! 
এ হলো মহা-আধুনিকতাপূর্ণ এক তেজস্ক্রীয় কল্যানময় রশ্মী !
এ এক আনন্দঘন ও সুখের পরশ মিশানো কালজয়ী পথের দিশা ৷
এ হলো হতাশাগ্রস্হ জীবনের এক পরম, মহাশান্তিপূর্ণ ও মহাজাগতিক আশার বাণী ৷
এ হলো আমার ও আপনার রব মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত এক মহা নিদর্শন ৷ যিনি সমগ্র সৃষ্টিজগতের রব ৷ যিনি মহাপরাক্রমশালী, মহা প্রজ্ঞাময় ৷ 
এ তাঁর এক মহা নেয়ামত, 
এটা সেই কিতাব যেমন আমার আল্লাহ বলেছেন,
ذلك الكتب لا ريب فيه- هدي للمتقين ٥
"এটা সেই কিতাব ৷ যার মধ্যে কোন সন্দেহ নেই ৷ মুত্তাকীদের জন্য এটা হেদায়াত স্বরূপ ৷"(সূরা বাক্বারাহ ২:২)
وما هو بقول شاعر- قليلا ما تؤمنون ٥ ولا بقول كاهن - قليلا ما تذكرون ٥ تنزيل من رب العلمين ٥
"এটা কোন কবির কালাম নয় ! তোমরা কমই বিশ্বাস স্হাপন কর ৷ এটা কোন অতিন্দ্রীয়বাদীর কথা নয় ! তোমরা কমই অনুধাবন কর ৷ এটা তাঁর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত যিনি সমগ্র সৃষ্টিজগতের একমাত্র রব ৷"(সূরা হাক্ক্বাহ ৬৯:৪১-৪৩)
هذا بصائر للناس وهدي ورحمة لقوم يوقنون ٥
"এটা মানুষের জন্য এক মহা আলোকবর্তিকা ,হেদায়াত ও রহমত ৷ তাঁদের জন্য যারা দৃঢ় বিশ্বাসী ৷"(সূরা জাসিয়াহ ৪৫:২০)
এটা সেই গ্রণ্থ যার আওয়াজে ভারি হয়ে উঠেছিল আকাশ-বাতাস সব কিছু ৷ যা তাঁক লাগিয়ে দিয়েছিল এক অদৃশ্য জগতের মহাসত্যের অন্তরালে আবদ্ধ হয়ে থাকা শক্তিধর জ্বীনদেরকেও, যেমনটি আমার আল্লাহ বলেছেন ৷
قل اوحي الي انه استمع نفر من الجن فقالوا انا سمعنا قرانا عجبا ٥ يهدي الي الرشد فامنا به ولن نشرك بربنا احدا ٥
"বল (হে নবী), আমার প্রতি ওহী নাযিল করা হয়েছে যে, জ্বীনদের একটি দল কোরআন শ্রবণ করেছে ৷ অতঃপর বলেছে, আমরা বিশ্ময়কর কোরআন শ্রবণ করেছি ৷ সা সঠিক পথ প্রদর্শণ করে ৷ তাই আমরা তাতে বিশ্বাস স্হাপন করলাম ৷ আমরা কখনও আমাদের রবের সাথে কাউকে শরীক করব না ৷ "(সূরা জ্বীন ৭২:১-২)
তাঁরা যখন কোরআন শুনতে পেল তখন পরস্পরকে বলল চুপ থাক ৷ অতঃপর তাঁরা ফিরে গেল তাঁদের জাতির নিকট এক দয়া ও মমতাপূর্ণ আহ্বান নিয়ে ৷ আহ্বান করল এই পবিত্র কালামের দিকে ৷ (বিস্তারিত দেখুন সূরা আহক্বাফ ৪৬:২৯-৩২ নং আয়াতে)

এতো সেই গ্রণ্থ যার সম্পর্কেও তাঁর শত্রুও সত্য স্বীকারে বাধ্য হয় ৷ যেমন বলেছিল william muir আজ থেকে প্রায় ২০০ শত বছর আগে ৷ 
জানেন কি ! সে কি বলেছিল !
আসুন একটু চোখ বুলাই নিম্নোক্ত উক্তির দিকে,
There is probably in the world no other work which has remained twelve centuries with so pure a text. The various readings are wonderfully few in numbers and are chiefly confined to difference in the vowel points and diacritical signs"
—এটি খুবই সম্ভাব্য একটি ঘটনা যে, পৃথিবীতে এমন কোন কাজ দেখতে পাও যায় না যা কোরআনের মত বিগত ১২০০ বৎসর যাবৎ খুবই মজবুতভাবে নিজ পাঠ্যের বিশুদ্ধতাকে ধরে রেখেছে ৷ বৈচিত্রময় পঠনের এক অপূর্ব সন্নিবেশ রয়েছে এতে, যার কিছু আছে ক্রমিক ধারায় এবং যার একটি বড় অংশ রয়েছে এর স্বরধ্বণীর ও বিরামচিহ্ণের বিভিন্নতাকে ঘিরে ৷
( ☞THE LIFE OF MAHOMET,London Edition: 1861, Volume:1, chapter 1: The Coran:—Introduction, page: 14-15 )

জানেন কি ! এটাই সে মহাগ্রণ্থ যার অবতীর্ণ হওয়ার ভার বহন করা শক্ত, মজবূত ও দৃঢ়তাপূর্ণ পাহাড়ের পক্ষেও সম্ভবপর নয় ৷ মহান আল্লাহ বলেছেন,
لو انزلنا هذا القران علي جبل لرايته خاشعا متصدعا من خشية الله- وتلك الامثل نضربها للناس لعلهم يتفكرون ٥
"যদি আমি এই কোরআনকে পাহাড়ের উপর নাযিল করতাম তবে তুমি দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহর ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে ৷ আমি এইসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্য বর্ণনা করি যেন তাঁরা চিন্তা-ভাবনা করে ৷"(সূরা হাশর ৫৯:২১)
আর এই মহাগ্রণ্থ পেয়েও আপনি তাঁর মূল্যায়ন বুঝতে পারছেন না ৷ মনে রাখবেন গাঁধার মত পিঠে পুস্তক বহনে লাভ নেই ৷ যেমন মহান আল্লাহ বলছেন,
مثل الذين حملوا التورىة ثم لم يحملوها كمثل الحمار يحمل اسفارا ٥
"যাদেরকে তাওরাত দেয়া হয়েছিল, অতঃপর তারা তা উপলব্ধি করেনি ৷ তারা হলো ঐ গাঁধার মত যারা পুস্তক বহন করে ৷"(সূরা জুমুআহ ৬২:৫)

সুতরাং আজই আপনার উপযুক্ত সময় ৷ গাঁধার রাজ্য থেকে বের হয়ে আসুন ৷ 
ভয় নেই ! মহান আল্লাহ এই কোরআনকে বোঝার জন্য সহজ করে দিয়েছেন ৷ মহান আল্লাহ বলেন,
ولقد يسرنا القران للذكر - فهل من مدكر ٥
"নিশ্চয়ই আমি এ কোরআনকে বুঝার জন্য ও শিক্ষা গ্রহণের জন্য সহজ করে দিয়েছি ৷ অতএব চিন্তা করার মত কেউ আছ কি?" (সূরা ক্বমার ৫৪:১৭,২২,৩২,৪০)
তাহলে আর দেরি কেন ? 
জেগে উঠুন ! স্বহস্তে বুকে ধারণ করুন আপনার রবের পাঠানো সেই মহাপবিত্র গ্রণ্থ আল কোরআনকে ৷ 
নিজ চিন্তা-ভাবনাকে জাগিয়ে তুলুন !
এর পঠন ও বুঝকে নিজ জীবনের একটি challenge হিসেবে নিন ৷ 
পথ চলা শুরু করুন ৷
অতঃপর দেখুন আপনার রব কি বলছেন আপনাকে ৷ 
আপনি কেবল অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রি নেওয়া কোন ছোট খাঁট ছাত্র হবেন না ৷ আপনি কেবল ভাত দেখে ভাতের চিন্তা করবেন না ৷ আপনি ভাত দেখে ধান চিন্তা করবেন, চিন্তা করবেন এক উর্বর জমীর, চিন্তার করবেন সুনিয়ণ্ত্রীত সেঁচ ব্যবস্হার, চিন্তা করবেন কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা, চিন্তা করবেন মহান আল্লাহর অফুরন্ত, অসীম ও মহা অনুগ্রহের কথা ৷ 
কারণ আল্লাহ আপনাকে চতুস্পদ জন্তু করে পাঠান নি ৷ পাঠিয়েছেন বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এক বিশেষ সত্তা বানিয়ে ৷ যার রয়েছে এক বিশেষ ধরনের চিন্তাধারা ৷ যে ধোঁয়া দেখে অাগুন চিনে নেয় ৷
আপনি যমীনে থেকে উর্ধ্বাকাশের খবর নেবেন, খবর নেবেন এমন এক জগতের যেখানে আপনাকে আমাকে পৌছতেই হবে ৷ যেখানে কোন স্যাটেলাইট, কোন টেলিস্কোপ, কোন রকেট বা বা কোন মহাকাশযান কাষ্মিনকালেও পৌছাতে সক্ষম হবে না ৷ মহাগ্রণ্থ আল কোরআন হলো আপনার পথ চলার সেই সাথী, যে আপনাকে সেই আলোর পথ দেখাবে ৷ পাশাপাশি যমীনের বুকেও আপনার পথ চলার সাথী হয়ে থাকবে ৷ আপনি পাবেন মহা সুরভিত কানূনের এমন এক সুবাশ যা আপনার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে আপনার জীবনের সাথে একাকার হয়ে মিশে যাবে ৷
আর আপনি হয়ে যাবেন অত্যন্ত ভাগ্যবান, সুদৃষ্টিসম্পন্ন, সুস্হ চিন্তাধারার ও মহা আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন সবচেয়ে উঁচু মানের ও সর্বোৎকৃষ্ট ছাত্র যার উপর কোন স্তর কল্প না করা যায় না৷ 
না না ! এই সম্মানের কথা আমি বলিনি বরং একথা বলেছেন বিশ্ব মানবতার মহান মুক্তিদূত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (صلي الله عليه وسلم) ! তিনি বলেন,
ان افضلكم من تعلم القران وعلمه -
"নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সেই সবচেয়ে বেশী মর্যাদাপূর্ণ যে নিজে কোরআনকে শিখে এবং অপরকে শিক্ষা দেয় ৷"(সহীহ বুখারী, অধ্যায় ৬৬: আল কোরআনের ফযীলতসমূহ, অনুচ্ছেদ ২১, হাদীস ৫০২৮, হাদীস এ পর্বসূচির নম্বরবিন্যাস: মুহাম্মদ বিন হাজ্জ্বাজ)
এটা এমন এক গ্রণ্থ যার আলোচনায় মহান আল্লাহ অত্যন্ত খুশি হন ৷ রাসূলুল্লাহ (صلي الله عليه وسلم) বলেছেন,
من سلك طريقا يلتمس فيه علما سهل الله له به طريقا الي الجنة وما اجتمع قوم في بيت من بيوت الله يتلون كتاب الله ويتدارسونه بينهم الا نزلت عليهم السكينة وغشيتهم الرحمة وحقتهم الملائكة وذكرهم الله فيمن عنده—
"যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের জন্য রাস্তায় বের হয়, আল্লাহ তাঁর জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন ৷ আর যখন জাতির লোকেরা আল্লাহর ঘরসমূহের কোন ঘরে একত্রিত হয়ে আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং পরস্পর মিলে অধ্যায়ন করে তখন তাদের ওপর শান্তিধারা বর্ষিত হয়, রহমত তাদেরকে আচ্ছন্ন করে রাখে, ফেরেশতাগণ তাদেরকে ঘিরে রাখে, আল্লাহ তাঁর নিকটবর্তী ফেরেশতাদের নিকট তাঁদের ব্যাপারে আলোচনা করেন ৷"(সহীহ মুসলিম, অধ্যায় ৪৯, অনুচ্ছেদ ১১, হাদীস ২৬৯৯, হাদীস ও পর্বসূচীর নম্বরবিন্যাস: ফুয়াদ আব্দুল বাক্বী)
রাসূলুল্লাহ (صلي الله عليه وسلم) আরও বলেন 
من سلك طريقا يبتغي فيه علما سلك الله به طريقا الي الجنة- وان الملائكة لتضع اجنحتها رضاء لطالب العلم وان العالم ليستغفرله من في السموت والارض حتي الحيتان في الماء- وفضل العالم علي العابد كفضل القمر علي سائر الكواكب- ان العلماء ورثة الانبياء - ان الانبياء لم يورثوا دينارا ولا درهما انما ورثوا العلم فمن اخذ به اخذ بحظ وافر
"যে জ্ঞানার্জনের জন্য পথ চলে, এর মাধ্যমে আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের পথে পৌছে দেন ৷ আর ফেরেশতাগণ জ্ঞান অন্বেষণকারীর সন্তুষ্টির জন্য তাঁদের ডানা বিছিয়ে দেন ৷ আর নিশ্চয়ই আলিমদের জন্য আসমান যা আছে ও যমীনে যা আছে সবাই তাঁদের জন্য দোয়া করে এমনকি পানির নিচের মাছ পর্যন্ত ! নিশ্চয়ই আলিমগণ নবীদের ওয়ারিস ৷ আর নবীরা কোন দিনার-দিরহামের ওয়ারিস রেখে যান না ৷ তাঁরা রেখে যান (ওহীর) জ্ঞানের উত্তরাধিকারী ৷ সুতরাং যে একে ধারণ করে তাঁর ইলম পূর্ণতা লাভ করেছে ৷"(সুনান তিরমিযী, অধ্যায় ৩৯: জ্ঞান পর্ব, অনুচ্ছেদ ১৯, হাদীস ২৬৮২, হাদীসের মান: সহীহ, তাহক্বীক: আলবাণী)

আপনি জানেন কি ! এই গ্রণ্থ পাঠ করতে গিয়ে অশ্রুধারা বইত আবূ বকর সিদ্দীক (رضي الله عنه) এর চোখে !(১)
এই গ্রণ্থই শান্ত করে দিত উমর (رضي الله عنه ) কে ! (২)
এ গ্রণ্থকেই বুকে ধারণ করে জগতসেরা chief of tafsir science তথা রইসুল মুফাস্সিরীন হয়েছেন আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (رضي الله عنه) ! (৩)
এই গ্রণ্থকেই বুঁকে ধারণ করেছিলেন উসাইদ বিন হুযাইর (رضي الله عنه), যার তিলাওয়াত শুনে আকাশ থেকে ফেরশতারা নেমে এসেছিল ৷ (৪)
এই গ্রণ্থকেই বুঁকে ধারণ করেছিলেন আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (رضي الله عنه) , সালিম (رضي الله عنه) যায়েদ বিন সাবিত (رضي الله عنه)، মুয়াজ বিন জাবাল (رضي الله عنه), উবাই বিন কা'ব (رضي الله عنه) সহ, আবূ যায়দা (رضي الله عنه) সহ আরও অনেকে ৷ (৫)
শুধু তাই নয় পবিত্র কোরআনের আলোকজ্জ্বোল করা মিষ্টি মধুর ঝর্ণাধারা প্রবাহিত বাণীতে আকৃষ্ট হয়ে মুল্যবান মতামত রেখেছেন অনেক উদার অমুসলিমগণও ৷ আজ তারই একজনের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম ৷
Goethe বলেন,
it soon attracts, astounds and in the end enforces our reverence........its style accordance with its contents and aim, is stern, grand, terrible— ever and anon truely sublime. ........thus this book will go on exercising through all ages a most potent influence.
"এটি খুব দ্রুতই মানুষকে আকর্ষণ করে, বিস্ময়ে অভিভূত করে এবং জোঁড়ালোভাবে আমাদের গভীর ভালবাসার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ৷ এটা নির্দেশ করে এমন এক জীবনের যার বিষয়বস্তু ও লক্ষ্য খুবই দৃঢ়, খুবই বিশাল ও মহৎ এবং শাপদসংকুল যা মূলত প্রায়শই এক মহীমান্বিত সত্য ৷ এভাবেই এই গ্রণ্থ চর্চার মাধ্যমে প্রতিটি বয়সের লোকের মাঝে এক অতীব শক্তিশালী প্রভাব বিরাজ করবে ৷
(দেখুন, Dictionary of Islam, THOMAS PATRICK HUGHES— T.P HUGHES , 1885 Edition, page 526)

১৷
২৷ সূরা হুজুরাতের ১-৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন মা'আরেফুল কোরআনে, এছাড়া অন্যান্য ঘটনা
৩৷ সহীহ বুখারী ৫০০২
৪৷সহীহ বুখারী ৫০১৮
৫৷ সহীহ বুখারী ৪৯৯৯, ৫০০৩, ৫০০৪

এটা সেই কিতাব / মেরাজুল ইসলাম প্রিয়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন