শুক্রবার, ৩ আগস্ট, ২০১৮

প্রগতির নামে প্রহসন


নিকুচি করি আপনার আধুনিকতার

সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর যিনি সর্বোচ্চ এবং সবচেয়ে উন্নত যার উপর কোন স্তর নেই এবং যা চুড়ান্ত ৷ অসংখ্য দরুদ ও সালাম মানবতার মহান মুক্তিদূত সর্বোন্নত ও সর্বাধুনিক আদর্শ বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ( ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) এর প্রতি, যাকে আল্লাহ মনোনিত করেছেন এবং সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরুপ প্রেরণ করেছেন ৷
আর সর্বোচ্চ ও সর্বোন্নত তথা সর্বাধুনিক আল্লাহর পাঠানো আদর্শ হবে সর্বাধুনিক ও সর্বোন্নত এটাই স্বাভাবিক ৷ একইভাবে তাঁর দেওয়া বিধানও হবে সর্বোচ্চ, সর্বোন্নত ও সর্বাধুনিক এটাও অত্যন্ত স্বাভাবিক ৷ঝ
ﻭﻣﻦ ﺍﺣﺴﻦ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﺒﻐﻪ ٥
" আর তাঁর রঙের চাইতে উত্তম রঙ আর কার হতে পারে ৷"( সূরা বাক্বারাহ ২:১৩৮)
সুতরাং, এর বিপরীতে চলা যে কোন দাবিকৃত আধুনিক আদর্শই হবে আকাশ কুসুম আধুনিকতা ৷
আর তাইতো এরুপ আধুনিকতার ইন্ধনদাতা ও পোষকদের বলব—
৷৷ নিকুচি করি আপনার আধুনিকতার ৷৷
আমাদের অত্যাধুনিকতা আমাদের শিখায় আমরা একমাত্র আল্লাহর গোলামি করতে এসেছি ৷ এটাই হলো একজন মানুষের সৃষ্টি হওয়ার মূল লক্ষ্য ৷ আর এটিকে আল্লাহর অধিকারের সাথে সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে ৷ কারণ কেউ যখন সবসময় যথাযথভাবে স্রষ্টার প্রতি নত থাকার দরুন স্রষ্টার উপস্থিতি উপলব্ধি করে তার পক্ষে নিজের ও অন্যের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হওয়া সম্ভব হয় ৷ কেননা তখন সে জানবে আমি এবং সে একই স্রষ্টার সৃষ্টি তাইতো আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন
ﻭﻣﺎ ﺧﻠﻘﺖ ﺍﻟﺠﻦ ﻭﺍﻹﻧﺲ ﺇﻻ ﻟﻴﻌﺒﺪﻭﻥ ٥
"মানুষ ও জ্বীনকে কেবল আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ ( সূরা যারিয়াত ৫১:৫৬)
পাশাপাশি এই অধিকার অন্যকে দিলে বা আংশিকভাবে দিলেও আমরা আমাদের এই জীবনে সংকীর্ণতায় ভুগব কেননা তখন মন অন্য দিকে ঝুকতে বাধ্য হবে আর তার মানেই হবে ভেজালযুক্ত বিশ্বাস ৷ যার ফলে তাকে অন্ধকার পেয়ে বসে ৷ সুতরাং তাকে নিজের ও অন্যের অধিকারের ব্যপারে গাফলতিতে পেয়ে বসে ৷ তাইতো তাদের কঠোর ভাষায় নিন্দা করে বলা হয়েছে
ﺍﻥ ﺍﻟﺸﺮﻙ ﻟﻈﻠﻢ ﻋﻈﻴﻢ ٥
"নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই আল্লাহর সাথে শরীক করা সবচেয়ে বড় যুলুম ৷"( সূরা লুক্বমান ৩১:১৩)
ﻭﻣﻦ ﻳﺸﺮﻙ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻓﻘﺪ ﺿﻞ ﺿﻠﻼ ﺑﻌﻴﺪﺍ ٥
" আর যে আল্লাহর সাথে শিরকে লিপ্ত হয় নিশ্চয়ই সে সুদূর গোমরাহিতে পতিত হয় ৷"(সূরা নিসা ৪:১১৬)
এই কথা আরও জোড় দিয়ে বলা হয়েছে এইভাবে
" ﻭﻣﻦ ﺍﺿﻞ ﻣﻤﻦ ﻳﺪﻋﻮﺍْ ﻣﻦ ﺩﻭﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﻻ ﻳﺴﺘﺠﻴﺐ ﻟﻪ ﺍﻟﻲ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﻤﺔ ﻭﻫﻢ ﻋﻦ ﺩﻋﺎﺋﻬﻢ ﻏﻔﻠﻮﻥ ٥
" তার চাইতে অধিক গোমরাহ আর কে হতে পারে যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কাউকে ডাকে যে কেয়ামত পর্যন্ত তার ডাকে সাঁড়া দেবে না এবং তারাতো তাদের ডাক সম্পর্কেও গাফেল ৷"( সূরা আহক্বাফ ৪৬:৫)
ﺣﻨﻔﺎﺀ ﻟﻠﻪ ﻏﻴﺮ ﻣﺸﺮﻛﻴﻦ ﺑﻪ، ﻭﻣﻦ ﺑﺸﺮﻙ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻓﻜﺄﻧﻤﺎ ﺧﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﻓﺘﺨﻄﻔﻪ ﺍﻟﻄﻴﺮ ﺃﻭ ﺗﻬﻮﻱ ﺑﻪ ﺍﻟﺮﻳﺢ ﻓﻲ ﻣﻜﺎﻥ ﺳﺤﻴﻖ ٥
"আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ হয়ে, শিরককারীদের অন্তর্ভু়ক্ত না হয়ে (তাঁর ইবাদত কর) ৷ আর যে আল্লাহর সাথে শিরকে লিপ্ত হয় সে যেন আকাশ থেকে ছিটকে পড়ল তখন মৃতভোজী পাখি তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল অথবা বাতাস তাকে নিয়ে কোন দূরবর্তী প্রান্তরে নিক্ষেপ করল ৷"(সূরা হাজ্জ্ব ২২:৩১)
পাশাপাশি সর্বোন্নত আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে তাঁর অধিকারের আসনে বসানো হয়েছে তাদের নিস্তেজতাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
ﻳﺎﻳﻬﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺿﺮﺏ ﻣﺜﻞ ﻓﺎﺳﺘﻤﻌﻮﺍْ ﻟﻪ، ﺍﻥ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺗﺪﻋﻮﻥ ﻣﻦ ﺩﻭﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻦ ﻳﺨﻠﻘﻮﺍْ ﺫﺑﺎﺑﺎ ﻭﻟﻮ ﺍﺟﺘﻤﻌﻮﺍْ ﻟﻪ، ﻭﺍﻥ ﻳﺴﻠﺒﻬﻢ ﺍﻟﺬﺑﺎﺏ ﺷﻴﺌﺎ ﻻﻳﺴﺘﻨﻘﺬﻭﻩ ﻣﻨﻪ ، ﺿﻌﻒ ﺍﻟﻄﺎﻟﺐ ﻭﺍﻟﻤﻄﻠﻮﺏ ٥
" হে মানুষ আমি একটি উদাহরণ দিচ্ছি অতএব মনোযোগ দিয়ে শোন ৷ নিশ্চয়ই তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ডাক তারা কখনও একটি মাছিও সৃষ্টি করতে পারবে না যদিও তারা সবাই এক হয়ে যায় ৷ আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কিছু কেঁড়ে নেয় তারা তা উদ্ধারও করতে পারবে না ৷ আহবানকারি ও যাকে আহবান করা হয় উভয়ই দুর্বল ৷"( সূরা হাজ্জ্ব ২২: ৭৩)
ﻣﺜﻞ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﺗﺨﺬﻭﺍْ ﻣﻦ ﺩﻭﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻭﻟﻴﺎﺀ ﻛﻤﺜﻞ ﺍﻟﻌﻨﻜﺒﻮﺕ ، ﺍﺗﺨﺬﺕ ﺑﻴﺘﺎ، ﻭﺇﻥ ﺍﻭﻫﻦ ﺍﻟﺒﻴﻮﺕ ﻟﺒﻴﺖ ﺍﻟﻌﻨﻜﺒﻮﺕ، ﻟﻮ ﻛﺎﻧﻮﺍْ ﻳﻌﻠﻤﻮﻥ ٥
"যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে আউলিয়া বা অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে সাব্যস্ত করে তাদের অবস্থা মাকড়সার মত যে জাল বিস্তার করে ৷ আর নিশ্চয়ই সমস্ত ঘরের মধ্যে মাকড়সার জালই সবচেয়ে দুর্বল ৷ যদি তারা জানত ! "(সূরা আনকাবুত ২৯:৪১)
যেখানে আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ বিশ্বাসের নির্ভেজাল খুঁটি স্থাপণ না হলে অন্য কোন নৈতিক উন্নয়ন বা আধুনিকতা অকল্পনীয় আর সেখানে আপনার সেই তথাকথিত আধুনিকতা নৈতিকতার নামে ধর্মনিরপেক্ষতা শেখাচ্ছে ৷ এতে স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস ঠিক থাকা তো দূরের কথা বরং অনেক ক্ষেত্রে বিশ্বাস হারিয়ে নাস্তিক হয়ে পড়ে ৷ আর অন্যান্য নৈতিক অবক্ষয় তো আছেই ৷
তাইতো মহান আল্লাহর প্রশংসা করে একথা বলতে চাই
ﺳﺒﺤﺎﻧﻚ ﻻ ﻋﻠﻢ ﻟﻨﺎ ﺇﻻ ﻣﺎ ﻋﻠﻤﺘﻨﺎ، ﺇﻧﻚ ﺃﻧﺖ ﺍﻟﻌﻠﻴﻢ ﺍﻟﺤﻜﻴﻢ ٥
"আপনি মহাপবিত্র ! আপনি আমাদেরকে যা জ্ঞান দিয়েছেন তা ছাড়া আমাদের তো কোন জ্ঞানই নেই ৷ নিশ্চয়ই আপনি সর্বাধিক জ্ঞানময় ও প্রজ্ঞাময় ৷( সূরা বাক্বারাহ ২:৩২)
না ! না ! এও বলতে চাই—
৷৷ নিকুচি করি আপনার আধুনিকতার ৷৷
এবার আসুন সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ মুহাম্মদ ( ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) কে 'Follow up করার ব্যপারে কি বলে ?
ﻟﻘﺪ ﻛﺎﻥ ﻟﻜﻢ ﻓﻲ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﺳﻮﺓ ﺣﺴﻨﺔ ﻟﻤﻦ ﻛﺎﻥ ﻳﺮﺟﻮﺍْ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺍﻟﻴﻮﻡ ﺍﻷﺧﺮ ﻭﺫﻛﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻛﺜﻴﺮﺍ ٥
"নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে সরবোত্তম আদর্শ রয়েছে তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আখেরাত কামনা করে এবং অনেক বেশী আল্লাহকে স্মরণ করতে চায় ৷ "(সূরা আহযাব ৩৩:২১)
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻣﻮﺱ ﺑﻦ ﺍﺳﻤﺎﻋﻴﻞ ﺳﻤﻌﺖ ﺳﻼﻡ ﺑﻦ ﻣﺴﻜﻴﻦ ﻗﺎﻝ ﺳﻤﻌﺖ ﺛﺎﺑﺘﺎ ﻳﻘﻮﻝ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﻧﺲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﺧﺪﻣﺖ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﺸﺮ ﺳﻨﻴﻦ ﻓﻤﺎ ﻗﺎﻝ ﻟﻲ ﺍﻑ ﻭﻻ ﻟﻢ ﺻﻨﻌﺖ ﻭﻻ ﺍﻻ ﺻﻨﻌﺖ
" আনাস ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি দশটি বছর নবী ( ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) এর খেদমত করেছি ৷ তিনি কখনও আমাকে উফ বলেননি ৷ কখনও এও বলেননি যে, এমনটি কেন করলে এবং এও বলেন নি যে, এমনটি কেন করলে না ৷"( সহীহ বুখারী, অধ্যায় ৭৮: আচার- ব্যাবহার পর্ব,অনুচ্ছেদ ৩৯: সচ্চরীত্রতা,দান
শীলতা সম্পর্কে ও কৃপণতা ঘৃণ্য হওয়া প্রসঙ্গে, হাদীস ৬০৩৮)
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻮﻫﺎﺏ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺣﻤﻴﺪ ﺑﻦ ﺯﻳﺪ ﻗﺎﻝ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺛﺎﺑﺖ ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﺍﻥ ﺍﻋﺮﺍﺑﻴﺎ ﺑﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻓﻘﺎﻣﻮﺍ ﺍﻟﻴﻪ ﻓﻘﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻻ ﺗﺰﺭﻣﻮﻩ ﺛﻢ ﺩﻋﺎ ﺑﺪﻟﻮ ﻣﻦ ﻣﺎﺀ ﻓﺼﺐ ﻋﻠﻴﻪ
" আনাস বিন মালেক ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ) বলেন, এক বেদুঈন মসজিদে পেশাব করে দিল তখন লোকজন তাঁর প্রতি এগিয়ে যেতে উদ্যত হলে রাসূলুল্লাহ ( ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) তাদের বললেন,'তাকে পেশাব করতে বাঁধা দিও না ৷' এরপর তিনি এক বালতি পানি আনালেন অত:পর তাতে ঢেলে দিলেন ৷"( সহীহ বুখারী, অধ্যায় ৭৮: আচার- ব্যবহার পর্ব, অনুচ্ছেদ ৩৫: সকল কাজে নম্রতা অবলম্বন,হাদীস ৬০২৫)
ﻭﺣﺪﺛﻨﻲ ﻋﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﺍﻧﻪ ﻗﺪ ﺑﻠﻐﻪ ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﺑﻌﺜﺖ ﻷﺗﻤﻢ ﺣﺴﻦ ﺍﻻﺧﻼﻕ
মালিক ( ﺭﺣﻴﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ) বলেন, আমার কাছে এ মর্মে খবর পৌছেছে যে, অবশ্যই রাসূলুল্লাহ ( ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) বলেছেন,"আমি উত্তম চরিত্রকে পরিপূর্ণতা দান করতে আবির্ভূত হয়েছে ৷"( মুয়াত্তা ইমাম মালেক, অধ্যায় ৪৮, রেওয়ায়েত ৮)
Michel H.Hart বলেন,"My choice of Muhammad to lead the list of the world's most influential person may be surprise some readers may be questioned by other. But he was the only man in history who was supremely successful both on the religious and secular levels.
আমার পছন্দনীয় তালিকায় মুহাম্মদই একমাত্র সে ব্যক্তি যে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী হওয়ার যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৷ এ ব্যাপারটি অনেক পাঠককে আশ্চর্য করতে পারে আবার অনেকের মনে প্রশ্নও জাগাতে পারে ৷ তবে ইতিহাসে তিঁনিই একমাত্র ব্যক্তি যে ধর্মীয় ক্ষেত্রে এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে সর্বাধিক সফল ৷( THE 100, Rank 1, page 3)
Thomas Carlyle বলেন, " We have chosen Mahomet not as the most eminent Prophet; but as the one we are freest to speak of. He is by no means the truest of Prophets; but I do esteem him a true one.
"আমরা মুহাম্মদকে সচরাচর নবী হিসেবে না মেনে নিলেও একজন সুষ্পষ্ট ও সাবলীল বক্তব্যের জন্য তাকে পছন্দ করি ৷ সন্দেহাতীতভাবেই তিনি একজন সত্য নবী ৷ তবে আমি তাকে একটি সত্য হিসেবে সম্মান করি ৷ "(ON HEROES, HERO-WORSHIP AND THE HEROIC IN HISTORY: lecture-2, page 39 )
William drapper বলেন,"Four years After the death of justinian , A.D 569 was born at macca, in arabia, the man who, of all men, has exercised the greatest influence upon the human race— Muhammad......... He raised his own nation from the fetichism, the adoration of a meteoric stone and the basset from the idol- worship;়়়়়়়়়়়়়A preaching soldier, he was eloquent in the pulpit, valient in the field . His theology was simple: "There is but one God". ".............Asserting that ever-lasting truth, he did not engage in vain metaphysics, but applied himself to improving the social condition of his people by regulations respecting personal cleanliness, sobriety, fasting,prayer.
" জাষ্টিনিয়ানদের মৃত্যুর চার বছর পর ৫৬৯ খ্রিষ্টাব্দে আরবে মক্কা শহরে লোকদের মধ্যে এমন এক ব্যাক্তির জন্ম হয় যে সকলের চাইতে মানবজাতির মধ্যে সবচেয়ে বেশী প্রভাব বিস্তার করে, তাঁর নাম মুহাম্মদ.............সে তাঁর নিজ জাতিকে কুসংস্কার, উল্কাপূজা ও মূর্তিপূজা থেকে বের করে এনেছিলেন ়়়়়়়়়়়়়়় তিনি ছিলেন একজন ধর্মপ্রচারক সৈনিক, তিনি ছিলেন ধর্মযাজকদের তুলনায় অলংকারপূর্ণ , যুদ্ধের ময়দানে ছিলেন একজন বীর ৷ তার ধর্মতত্ব ছিল একটিই আর তা হল "প্রভু একমাত্র একজন "়়়়়়়়়়়়এটা দ্বীধাহীন চিরসত্য যে, তিনি কোন ফাল্তু বৈরাগ্যবাদে নিজেকে বিজড়িত করেননি বরং সুগঠিত নীতিমালার আলোকে মর্যাদাপূর্ণ চারিত্রিক পবিত্রতা, সাবধানতা, সিয়াম ,সালাত এর মাধ্যমে সমাজ সংস্কারের জন্য আপন জাতির সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেছিলেন ৷
(HISTORY OF THE NTELLECTUAL DEVELOPMENT OF EUROPE, page: 329,330; chapter-xi: AGE OF FAITH IN THE EAST)
এভাবে জর্জ বার্নার্ড শ, মাহাত্না গান্ধী, এনি বিলিন সহ অনেক উদার অমুসলিম মনিষির উক্তি এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে ৷
সুতরাং তিনি ছিলেন মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সবার কাছে সর্বোত্তম ও সর্বাধুনিক আদর্শ যার উপর কোন আদর্শই হতেই পারে না ৷
সুতরাং এমন মহান আদর্শের বিপরীতে যে আধুনিকতা পথ দেখায় তা মূলত আধুনিকতা নয় ৷ আর তাই—
৷৷ নিকুচি করি আপনার আধুনিকতার ৷৷
এবার বলব আখিরাত সম্পর্কে ৷
ইসলামের অন্যান্য সর্বাধুনিক নীতির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আখিরাতে বিশ্বাস ৷ পবিত্র কোরআনে মুমিনদের গুন বর্ণনা করে বলা হয়েছে,
ﻭﺑﺎﻷﺧﺮﺗﻬﻢ ﻳﻮﻗﻨﻮﻥ ٥
"তারা আখিরাতেও দৃঢ় বিশ্বাস করে ৷"( সূরা বাক্বারাহ ২: ৪)
এই দিবস সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে
ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﺍﻟﺤﻖ، ﻓﻤﻦ ﺷﺎﺀ ﺍﺗﺨﺬ ﺍﻟﻲ ﺭﺑﻪ ﻣﺄﺑﺎ ٥
" এই দিবস সত্য ৷ অতএব যার ইচ্ছা হয় সে তার রবের নিকট ঠিকানা তৈরি করুক ৷"( সূরা নাবা ৭৮:৩৯)
আখিরাতে দৃঢ় বিশ্বাসী মানুষ এক কঠিন দিবসের ভয় রাখে যখন কেউ কারও কোন কাজে আসবে না ৷
ﻳﻮﻡ ﻳﻔﺮ ﺍﻟﻤﺮﺀ ﻣﻦ ﺍﺧﻴﻪ ٥ ﻭﺍﻣﻪ ﻭﺍﺑﻴﻪ ٥ ﻭ ﺻٰﺤﺒﺘﻪ ﻭﺑﻨﻴﻪ ٥ ﻟﻜﻞ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﻨﻬﻢ ﻳﻮﻣﺌﺬ ﺷﺄﻥ ﻳﻐﻨﻴﻪ ٥
" সেদিন প্রত্যকেই পলায়ন করবে তার ভাইয়ের কাছ থেকে,তার মায়ের কাছ থেকে, তার পিতার কাছ থেকে, তার স্ত্রীর কাছ থেকে, তার সন্তানদের কাছ থেকে ৷ সেদিন প্রত্যেকেই কেবল নিজের ব্যাপারে চিন্তা করবে যা তাকে ব্যাতিব্যস্ত করে রাখবে ৷"( সূরা আবাসা ৮০: ৩৪-৩৭)
আখিরাতে দ়ৃঢ় বিশ্বাসী মানুষ কখনও তাঁর দায়িত্বে অবহেলা করে না ৷ কারণ সে জানে
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻗﺘﻴﺒﺔ ﺑﻦ ﺳﻌﻴﺪ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻟﻴﺚ، ﻭﺣﺪﺛﻨﺎ ﻣﺤﻤﺪ ﺍﺑﻦ ﺭﻣﺢ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﻟﻠﻴﺚ ﻋﻦ ﻧﺎﻓﻊ ﻋﻦ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻧﻪ ﻗﺎﻝ ﺍﻻ ﻛﻠﻜﻢ ﺭﺍﻉ ﻭﻛﻠﻜﻢ ﻣﺴﺌﻮﻝ ﻋﻦ ﺭﻋﻴﺘﻪ ﻓﺎﻻﻣﻴﺮ ﺍﻟﺬﻱ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺭﺍﻉ ﻭﻫﻮ ﻣﺴﺌﻮﻝ ﻋﻦ ﺭﻋﻴﺘﻪ ﻭﺭﺟﻞ ﺭﺍﻉ ﻋﻠﻲ ﺍﻫﻞ ﺑﻴﺘﻪ ﻭﻫﻮ ﻣﺴﺌﻮﻝ ﻋﻨﻬﻢ ﻭﺍﻟﻤﺮﺃﺕ ﺭﺍﻋﻴﺔ ﻋﻠﻲ ﺑﻴﺖ ﺑﻌﻠﻬﺎ ﻭﻭﻟﺪﻩ ﻭﻫﻲ ﻣﺴﺌﻮﻟﺔ ﻋﻨﻬﻢ ﻭﻋﺒﺪ ﺭﺍﻉ ﻋﻠﻲ ﻣﺎﻝ ﺳﻴﺪﻩ ﻭﻫﻮ ﻣﺴﺌﻮﻝ ﻋﻨﻪ ﺍﻻ ﻓﻜﻠﻜﻢ ﺭﺍﻉ ﻭﻛﻠﻜﻢ ﻣﺴﺌﻮﻝ ﻋﻦ ﺭﻋﻴﺘﻪ
ইবনে উমর ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ )থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অবশ্যই নবী ( ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) বলেছেন," সাবধান! জেনে রাখো! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেক্যেই তাঁর দায়িত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হবে ৷ অতএব শাসক তার জনগণের ব্যাপারে দায়িত্বশীল এবং সে তাঁর দায়িত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে ৷ পুরুষ তার পরিবারের ব্যাপারে দায়িত্বশীল এবং সে তাঁর দায়িত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে ৷ স্ত্রী তাঁর স্বামীর ঘর ও সন্তানাদির ব্যাপারে দায়িত্বশীল এবং সে তাঁর দায়িত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে ৷ দাস তাঁর মনীবের মালের ব্যাপারে দায়িত্বশীল এবং সে তাঁর দায়িত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে ৷ অতএব সাবধান থেকো ! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেক্যেই তাঁর দায়িত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হবে ৷"( সহীহ মুসলিম, অধ্যায় ৩৪: প্রশাসন ও নেতৃত্ব পর্ব, পরিচ্ছেদ ৫, হাদীস ১৮২৯)
অনুরূপভাবে একথাও অত্যন্ত স্পষ্টভাবে প্রমাণ করা যেতে পারে যে, আখিরাতে বিশ্বাসী লোক নিরাশ হতে পারে এবং নিজের অধিকারের ব্যাপারেও সে অত্যন্ত সচেতন হয় , তার যে কোন পদক্ষেপ হয় আখিরাতের জীবনকে সামনে রেখে, দুনিয়ার কোন নগন্য চাহিদা তাঁর সুন্দর উদ্দেশ়্যকে বাঁধাগ্রস্ত করতে পারে না ইত্যাদি ৷
আর আপনার সেই তথাকথিত আধুনিকতা এর ধারের কাছেও যেতে পারে না বরং আমরা কেন দুনিয়াতে এলাম? আমাদের জীবন ও মরণের এই চক্র কেন হল? ভাল কাজ কেন করব? যারা খারাপ কাজ করেও দুনিয়াতে ভালভাবে জীবনধারণ করে, অতঃপর মারা যায় তাদের বিচার কিভাবে হবে? মৃত ভাল মানুষের প্রতিদান কিভাবে দেব যে কিছুই পায়নি? কিভাবে মৃত মাজলুমের প্রতিশোধ নেবো যে বিচার পায়নি? ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর দিতেও অক্ষম ৷
আর তাই-
৷৷ নিকুচি করি আপনার আধুনিকতার৷৷
কলেবর বড় হবে ভেবে ইসলামের আর মাত্র ২ টি অত্যাধুনিকতা বর্ণনা করব আর তা হল বিধান সংক্রান্ত ৷
ইসলামের অত্যাধুনিকতার মধ্যে এটাও একটি যে, ইসলাম নারী পুরুষের অবৈধ মেলামেশা হারাম করেছে ৷ আর এজন্য উভয়ের মধ্যে পর্দা নামক বিশাল নিরাপত্তার বিধান রেখেছে ৷ নারী পুরুষ উভয়কে দৃষ্টি সংযত রাখতে আদেশ করা হয়েছে ৷ নারীকে তাঁর সৌন্দর্য প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে ৷ উভয়কে বিয়ের জন্য সহজ পদ্ধতি দেয়া হয়েছে ৷ অভিভাবকদের এ ব্যাপারে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ৷ নারী পুরুষকে ব্যাভিচারের নিকটবর্তী হতে নিষেধ করা হয়েছে ৷
ﻭﻻ ﺗﻘﺮﺑﻮﺍْ ﺍﻟﺰﻧﻲ، ﺍﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻓٰﺤﺸﺔ ﻭﺳﺎﺀ ﺳﺒﻴﻼ ٥
"আর ব্যাভিচারের কাছেও যেও না ! নিশ্চয়ই এটা অত্যন্ত অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ ৷"( সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:৩২)
এরপরও যদি কেউ এমনটি করে তবে রাষ্ট্রীয় আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ৷ যেন সমাজের মানুষ একটি পবিত্র জীবন যাপন করে ৷ যেন অশান্তি বিরাজ না করে , যেন সম্ভ্রম রক্ষা হয় ৷ ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ !
আর নারী পুরুষকে বিপদগামী করতে আপনার আধুনিকতার কোন তুলনা হয়না উপরন্তু এটাকে প্রেম নাম দেয়া হয় যাকে অন্যভাবে বলা চলে "চোরের মায়ের বড় গলা"
আর তাই -
৷৷ নিকুচি করি আপনার আধুনিকতার ৷৷
ইসলামের অপর একটি অত্যাধুনিকতা হলো তা সণ্ত্রাসবাদকে হারাম করেছে
.... ﻣﻦ ﻗﺘﻞ ﻧﻔﺴﺎ ﺑﻐﻴﺮ ﻧﻔﺲ ﺍﻭ ﻓﺴﺎﺩ ﻓﻲ ﺍﻻﺭﺽ ﻓﻜﺎﻧﻤﺎ ﻗﺘﻞ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺟﻤﻴﻌﺎ، ﻭﻣﻦ ﺍﺣﻴﺎﻫﺎ ﺍﺣﻴﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺟﻤﻴﻌﺎ .... ٥
"যে হত্যার বিনিময়ে হত্যা কিংবা দুনিয়াতে বিপর্যয় সৃষ্টির কারণ ছাড়া কোন একজন মানুষকে হত্যা করল সে যেন গোটা মানবজাতিকেই হত্যা করল আর যে একজন মানুষের প্রাণ বাঁচাল সে যেন গোটা মানবজাতিকেই বাঁচাল ৷"( সূরা মায়িদাহ ৫:৩২)
আর ইসলাম শুধু একথা বলেই ক্ষান্ত হয়নি বরং তা নিয়ন্ত্রণে চতুর্মুখী নীতিমালাও দিয়েছে এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইনে কিসাসের মত সুন্দর ব্যবস্থাও করেছে ৷
আর আপনার আধুনিকতা যেখানে নৈতিকতার ব্যাপারেই অসেচতন যার সামান্য আলোচনা উপরেও এসেছে সেখানে তা দ্বারা সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছু না ৷ আর তাই-
৷৷ নিকুচি করি আপনার আধুনিকতার ৷৷
পরিশেষে বলব, যদি আপনি জেনে শুনে তথাকথিত আধুনিকতার পোষক ও ইন্ধণদাতা হন তবে জেনে রাখুন আপনার দোসর আবু লাহাব ও তাঁর স্ত্রীর কি হয়েছিল
ﺗﺒﺖ ﻳﺪﺍ ﺍﺑﻲ ﻟﻬﺐ ﻭﺗﺐ ٥ ﻣﺎ ﺍﻏﻨﻲ ﻋﻨﻪ ﻣﺎﻟﻪ ﻭﻣﺎ ﻛﺴﺐ ٥ ﺳﻴﺼﻠﻲ ﻧﺎﺭ ﺫﺍﺕ ﻟﻬﺐ ٥ ﻭﺍﻣﺮﺃﺗﻪ، ﺣﻤﺎﻟﺔ ﺍﻟﺤﻄﺐ ٥ ﻓﻲ ﺟﻴﺪﻫﺎ ﺣﺒﻞ ﻣﻦ ﻣﺴﺪ ٥
" ধ্বংস হোক আবু লাহাবের দুই হাত এবং ধ্বংস হোক সে নিজে ৷ তার ধন- সম্পদ তার কোন কাজে আসেনি এবং উপার্জন নয় ৷ অতি শীঘ্রই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে এবং তার স্ত্রীও ৷ তার গলায় খেজুর গাছের আঁশের রশি নিয়ে ৷"( সূরা লাহাব ১১১:১-৫)
আর যদি আপনি না জেনে এমনটি করে থাকেন তবে আপনাকে বলব আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান
ﻭﻣﻦ ﻳﻌﻤﻞ ﺳﻮﺀﺍ ﺍﻭ ﻳﻈﻠﻢ ﻧﻔﺴﻪ ﺛﻢ ﻳﺴﺘﻐﻔﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﺠﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻏﻔﻮﺭﺍ ﺭﺣﻴﻤﺎ
"আর যদি কেউ অন্যায় করে ফেলে কিংবা নিজের প্রতি জুলুম করে ফেলে অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তবে সে আল্লাহকে অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু হিসেবে পায় ৷" ( সূরা নিসা ৪:১১০)
অতঃপর পূর্ণাঙ্গভাবে এমন তাগুতকে পরিত্যাগ করুন ও আপনার উদ্দেশ্যের দিক আল্লাহর দিকে করুন, অতঃপর বলুন
৷৷ নিকুচি করি আপনার আধুনিকতার ৷৷
৷৷ নিকুচি করি আপনার আধুনিকতার ৷৷
৷৷ নিকুচি করি আপনার আধুনিকতার ৷৷ 

প্রগতির নামে প্রহসন / মেরাজুল ইসলাম প্রিয়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন