শুক্রবার, ৩ আগস্ট, ২০১৮


মেঘ দেখে আপনি আমি কত কিছুই না ভাবি কিন্তু জানেন কি রাসূল ( ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) কি ভাবতেন?
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻣﻜﻲ ﺑﻦ ﺍﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﺑﻦ ﺟﺮﻳﺞ ﻋﻦ ﻋﻄﺎﺀ ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﺫﺍ ﺭﺍﻱ ﻣﺨﻴﻠﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﺍﻗﺒﻞ ﻭﺍﺩﺑﺮ ﻭﺩﺧﻞ ﻭﺧﺮﺝ ﻭﺗﻐﻴﺮ ﻭﺟﻬﻪ ﻓﺈﺫﺍ ﺍﻣﻄﺮﺕ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﺳﺮﻱ ﻋﻨﻪ ﻓﻌﺮﻓﺘﻪ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺫٰﻟﻚ ﻓﻘﺎﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﺎ ﺍﺩﺭﻱ ﻟﻌﻠﻪ ﻛﻤﺎ ﻗﺎﻝ ﻗﻮﻡ ﻓﻠﻤﺎ ﺭﺍﻭﻩ ﻋﺎﺭﺿﺎ ﻣﺴﺘﻘﺒﻞ ﺍﻭﺩﻳﺘﻬﻢ ﺍﻻﻳﺔ—
আয়িশাহ ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ( ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) এমন ছিলেন যে, যখন তিনি আকাশে মেঘ দেখতেন তখন একবার পিছনে আসতেন ও একবার সামনে যেতেন, একবার ঘরের ভিতরে ঢুকতেন ও একবার বাইরে যেতেন এবং তাঁর চেহারা মলিন হয়ে যেত ৷ অতঃপর যখন আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হতো তখন তাঁর এ প্রভাব দূর হতো ৷ এবিষয়ে আয়িশাহ ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) জানতে চাইলে নবী ( ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) বলেন,'আমি জানি না এই মেঘ সেই মেঘও হতে পারে যা দেখে একটি জাতি বলেছিল যা এই আয়াতটিতে আছে (যার অর্থ): "যখন তারা উপত্যকা অভিমুখে মেঘ দেখতে পেল ৷"( সূরা আহ্ক্বাফ ৪৬:২৪)"
(সহীহ বুখারী,অধ্যায় ৫৯: সৃষ্টির সূচনা পর্ব, অনুচ্ছেদ: ৫, হাদীস ৩২০৬, হাদীস ও পর্বসূচীর নম্বর বিন্যাস: মুহাম্মদ বিন হাজ্জাজ )
ﻗﺎﻟﺖ ﻭﻛﺎﻥ ﺍﺫﺍ ﺭﺍﻱ ﻏﻴﻤﺎ ﺍﻭ ﺭﻳﺤﺎ ﻋﺮﻑ ﻓﻲ ﻭﺟﻬﻪ ﻓﻘﺎﻟﺖ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻥ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺍﺫﺍ ﺭﺍﻭﺍ ﺍﻟﻐﻴﻢ ﻓﺮﺣﻮﺍْ ﻓﻲ ﺭﺟﺎﺀ ﺍﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻴﻪ ﺍﻟﻤﻄﺮ ﻭﺍﺭﺍﻙ ﺍﺫﺍ ﺭﺍﻳﺘﻪ ﻋﺮﻑ ﻓﻲ ﻭﺟﻬﻚ ﺍﻟﻜﺮﺍﻫﻴﺔ ﻓﻘﺎﻝ ﻳﺎ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﻣﺎ ﻳﺌﻤﻨﻲ ﺍﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻴﻪ ﻋﺬﺍﺏ ﻋﺬﺏ ﻗﻮﻡ ﺑﺎﻟﺮﻳﺢ ﻭﻗﺪ ﺭﺍﻱ ﻗﻮﻡ ﺍﻟﻌﺬﺍﺏ ﻓﻘﺎﻟﻮﺍ ﻫﺬﺍ ﻋﺎﺭﺽ ﻣﻤﻄﺮﻧﺎ —
আয়িশাহ ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) বলেন, যখনই নবী ( ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﺒﻢ ) মেঘ কিংবা ঝড়ো হাওয়া দেখতেন তখনই তাঁর চেহারায় তা পরিলক্ষিত হতো ৷ আয়িশাহ ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) বললেন, 'হে রাসূলুল্লাহ ( ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) ! আমি মানুষকে দেখি যখন তারা মেঘ দেখে তখন আসন্ন বৃষ্টির আশায় আনন্দিত হয় আর যখন আপনার দিকে দেখি তখন আপনার চেহারায় আতঙ্কের ছাঁপ দেকতে পাই ৷ তিঁনি বললেন, "হে আয়িশাহ ! এতে আযাব না থাকার ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই ! কেননা বাতাস দিয়েই একটি জাতিকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল আর সেই জাতি আযাব দেখে বলেছিল, 'এতো মেঘ আমাদেরকে বৃষ্টি দেবে ৷' "( সহীহ বুখারী,অধ্যায় ৬৫: কুরআন মাজীদের তাফসীর পর্ব, অনুচ্ছেদ ৪৬, হাদীস ৪৮২৯, হাদীস ও পর্বসূচীর নম্বর বিন্যাস: মুহাম্মদ বিন হাজ্জাজ)

মেঘ এবং রাসূল (صلي الله عليه وسلم) এর অস্হিরতা /মেরাজুল ইসলাম প্রিয়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন